ক্রিকেট বিশ্বকাপ ফিক্সচার

পুরো
একটা শহর ডুবে আছে সাগর তলে । যেখানে এক সময় রাজা ছিলো, প্রজা ছিলো,
কোলাহল ছিলো আজ সেই শহর নিস্তব্ধ সাগর তলে শুয়ে আছে কালের সাক্ষী হয়ে ।
কিছুদিন আগে পর্যন্ত মানুষ জানতোই না এই শহর সম্পর্কে । প্রাচীন এই শহরটির
নাম হেরাক্লেয়ন ।
আলেকজান্দ্রিয়া থেকে ২০ মাইল উত্তর-পশ্চিমে সাগরের জল থেকে আবিষ্কৃত সেই শহরের সঙ্গে আটলান্টিসের অনেক মিল রয়েছে । ধারণা করা হয় আজ থেকে দেড় হাজার বছর আগে সমুদ্র শহরটিকে গ্রাস করে নিয়েছিল । এই নগরীর কথা জানা যায় গ্রিক ইতিহাসবিদ হেরোডোটাসের বর্ণনায় । ট্রয়ের রানী হেলেনের কথা বলেন যে নিজের প্রেমিক প্যারিসের সঙ্গে হেরাক্লেয়নে ভ্রমণ করতে এসেছিলেন । ২০০১ সালে ফরাসি প্রত্নতাত্বিক ফ্র্যাঙ্ক গুডিওর গবেষক দল এমন কিছু নিদর্শন খুঁজে পান যা থেকে এ ব্যাপারে আবারও চিন্তা করতে শুরু করতে হয় । ১৭৯৮ সালের ব্যাটল অফ দ্যা নাইলের সময়কালে নেপোলিয়নের ব্যবহৃত রণতরীর খোঁজ করছিলেন তারা । কিন্তু তার বদলে আলেক্সান্দ্রিয়ার কাছে আরও মুল্যবান এই গুপ্তধন খুঁজে পান তারা । তাদের সাথে যোগ দেয় অক্সফোর্ড সেন্টার ফর মেরিটাইম আর্কিওলজি এবং মিশরের ডিপার্টমেন্ট অফ অ্যান্টিকুইটিজ ।
প্রথমে সাগরের তলে পলিমাটি চাপা পড়ে থাকা বিশাল সব পাথুরে ভাস্কর্যের ধ্বংসাবশেষ পানির উপরিভাগে আনতে শুরু করেন তারা । এর পর সেই ভাস্কর্যগুলো তীরে নিয়ে আসা সম্ভব হয় । এভাবেই প্রথম আবিষ্কারের ১২ বছর পর মানুষের সামনে উন্মোচিত হয় হেরাক্লেয়নের অমুল্য সব নিদর্শন । এদের মাঝে রয়েছে মিশরীয় দেবী আইসিস, দেবতা হাপি এবং নাম না জানা এক ফারাও এর মূর্তি । কাদার নিচে চাপা পড়ে থাকা এসব মূর্তি মোটামুটি অক্ষত অবস্থাতেই পাওয়া গেছে । এমন ১৬টি বিশাল আকৃতির মূর্তির পাশাপাশি আরও পাওয়া গেছে মিশরের অন্যান্য দেব-দেবীর ছোট আকৃতির শত শত মূর্তি । এই মূর্তিগুলো ছিলো আমুন-গেরেব একটি মন্দিরে যেখানে নীলনদের রানী হিসেবে অভিষিক্ত হয়েছিলেন ক্লিওপেট্রা ।
এই আমুন-গেরেব মন্দিরের অনেকগুলো শবাধার পাওয়া গেছে, যাদের মাঝে ছিলো বলি দেওয়া বিভিন্ন প্রাণীর মমি করা দেহ । এদেরকে উৎসর্গ করা হয়েছিলো মিশরের সবচাইতে উচ্চ পর্যায়ের দেবতা আমুন-গেরেব এর উদ্দেশ্যে । ধর্মীয় প্রতীক সম্বলিত অনেক অ্যামিউলেট বা অলংকারও পাওয়া যায় যাতে আইসিস, ওসিরিস এবং হোরাসের মতো দেব-দেবীর প্রতিকৃতি দেখা যায় । এসব অ্যামিউলেট শুধুমাত্র ওই এলাকার অধিবাসীদের জন্য নয় বরং সেখানে আসা দর্শনার্থী এবং ব্যাবসায়িদের জন্যেও তৈরি করা হয়ে থাকতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে ।
শুধু ধর্মীয় নিদর্শন নয়, হেরাক্লেয়নে পাওয়া গেছে ৬৪ টি জাহাজের ধ্বংসস্তূপ । যে কোনও এক স্থানে এতগুলো জাহাজ পাওয়ার নমুনা এই প্রথম । এ ছাড়াও পাওয়া যায় ৭০০টি নোঙর । প্রাচীন পৃথিবীর অর্থনীতির জন্যেও হেরাক্লিয়ন ছিলো গুরুত্বপূর্ণ । এখানে পাওয়া গেছে স্বর্ণ এবং সীসার মুদ্রা এবং এথেন্স থেকে আসা বাটখারা । কন্সট্যান্টিনোপল, রোম এবং এথেন্স সহ বিভিন্ন এলাকায় যাতায়াত করার জন্য তখন ভূমধ্যসাগর ব্যবহৃত হতো এবং গবেষকরা ধারণা করছেন সেখানকার সবচাইতে গুরুত্বপূর্ণ বন্দর নগরী ছিলো হেরাক্লেয়ন । আর যাতায়াতের সুবিধার্থে প্রাকৃতিক জলপথের পাশাপাশি এখানে একটি কৃত্রিম খালও কাটা হয়েছিলো বলে ধারণা করা হয় ।
হেরাক্লেয়নের এই আবিষ্কার অতীতের অনেক রহস্য সমাধানে ভুমিকা রাখবে বলে আশা করছেন বিজ্ঞানীরা । তার কারণ হলো এখানে পাওয়া গেছে এমন সব নিদর্শন যা খুবই ভালো অবস্থায় সংরক্ষিত ছিলো । পাওয়া গেছে অক্ষত সব স্লেটের পুঁথি । এমনি এক স্লেটের টুকরো থেকে এক সময়ে হায়ারোগ্লিফের পাঠোদ্ধার করা সম্ভব হয়েছিলো । হেরাক্লেয়নও কি তেমনি কোনও বহু প্রতীক্ষিত রহস্যের দ্বার উন্মোচন করতে সক্ষম হবে ? সেই আশাই করছেন গবেষকরা ।- তথ্যসূত্র: ওয়েবসাইট।
- See more at: http://www.bd24live.com/bangla/article/18373/index.html#sthash.ycr1WpdD.dpuf
আলেকজান্দ্রিয়া থেকে ২০ মাইল উত্তর-পশ্চিমে সাগরের জল থেকে আবিষ্কৃত সেই শহরের সঙ্গে আটলান্টিসের অনেক মিল রয়েছে । ধারণা করা হয় আজ থেকে দেড় হাজার বছর আগে সমুদ্র শহরটিকে গ্রাস করে নিয়েছিল । এই নগরীর কথা জানা যায় গ্রিক ইতিহাসবিদ হেরোডোটাসের বর্ণনায় । ট্রয়ের রানী হেলেনের কথা বলেন যে নিজের প্রেমিক প্যারিসের সঙ্গে হেরাক্লেয়নে ভ্রমণ করতে এসেছিলেন । ২০০১ সালে ফরাসি প্রত্নতাত্বিক ফ্র্যাঙ্ক গুডিওর গবেষক দল এমন কিছু নিদর্শন খুঁজে পান যা থেকে এ ব্যাপারে আবারও চিন্তা করতে শুরু করতে হয় । ১৭৯৮ সালের ব্যাটল অফ দ্যা নাইলের সময়কালে নেপোলিয়নের ব্যবহৃত রণতরীর খোঁজ করছিলেন তারা । কিন্তু তার বদলে আলেক্সান্দ্রিয়ার কাছে আরও মুল্যবান এই গুপ্তধন খুঁজে পান তারা । তাদের সাথে যোগ দেয় অক্সফোর্ড সেন্টার ফর মেরিটাইম আর্কিওলজি এবং মিশরের ডিপার্টমেন্ট অফ অ্যান্টিকুইটিজ ।
প্রথমে সাগরের তলে পলিমাটি চাপা পড়ে থাকা বিশাল সব পাথুরে ভাস্কর্যের ধ্বংসাবশেষ পানির উপরিভাগে আনতে শুরু করেন তারা । এর পর সেই ভাস্কর্যগুলো তীরে নিয়ে আসা সম্ভব হয় । এভাবেই প্রথম আবিষ্কারের ১২ বছর পর মানুষের সামনে উন্মোচিত হয় হেরাক্লেয়নের অমুল্য সব নিদর্শন । এদের মাঝে রয়েছে মিশরীয় দেবী আইসিস, দেবতা হাপি এবং নাম না জানা এক ফারাও এর মূর্তি । কাদার নিচে চাপা পড়ে থাকা এসব মূর্তি মোটামুটি অক্ষত অবস্থাতেই পাওয়া গেছে । এমন ১৬টি বিশাল আকৃতির মূর্তির পাশাপাশি আরও পাওয়া গেছে মিশরের অন্যান্য দেব-দেবীর ছোট আকৃতির শত শত মূর্তি । এই মূর্তিগুলো ছিলো আমুন-গেরেব একটি মন্দিরে যেখানে নীলনদের রানী হিসেবে অভিষিক্ত হয়েছিলেন ক্লিওপেট্রা ।
এই আমুন-গেরেব মন্দিরের অনেকগুলো শবাধার পাওয়া গেছে, যাদের মাঝে ছিলো বলি দেওয়া বিভিন্ন প্রাণীর মমি করা দেহ । এদেরকে উৎসর্গ করা হয়েছিলো মিশরের সবচাইতে উচ্চ পর্যায়ের দেবতা আমুন-গেরেব এর উদ্দেশ্যে । ধর্মীয় প্রতীক সম্বলিত অনেক অ্যামিউলেট বা অলংকারও পাওয়া যায় যাতে আইসিস, ওসিরিস এবং হোরাসের মতো দেব-দেবীর প্রতিকৃতি দেখা যায় । এসব অ্যামিউলেট শুধুমাত্র ওই এলাকার অধিবাসীদের জন্য নয় বরং সেখানে আসা দর্শনার্থী এবং ব্যাবসায়িদের জন্যেও তৈরি করা হয়ে থাকতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে ।
শুধু ধর্মীয় নিদর্শন নয়, হেরাক্লেয়নে পাওয়া গেছে ৬৪ টি জাহাজের ধ্বংসস্তূপ । যে কোনও এক স্থানে এতগুলো জাহাজ পাওয়ার নমুনা এই প্রথম । এ ছাড়াও পাওয়া যায় ৭০০টি নোঙর । প্রাচীন পৃথিবীর অর্থনীতির জন্যেও হেরাক্লিয়ন ছিলো গুরুত্বপূর্ণ । এখানে পাওয়া গেছে স্বর্ণ এবং সীসার মুদ্রা এবং এথেন্স থেকে আসা বাটখারা । কন্সট্যান্টিনোপল, রোম এবং এথেন্স সহ বিভিন্ন এলাকায় যাতায়াত করার জন্য তখন ভূমধ্যসাগর ব্যবহৃত হতো এবং গবেষকরা ধারণা করছেন সেখানকার সবচাইতে গুরুত্বপূর্ণ বন্দর নগরী ছিলো হেরাক্লেয়ন । আর যাতায়াতের সুবিধার্থে প্রাকৃতিক জলপথের পাশাপাশি এখানে একটি কৃত্রিম খালও কাটা হয়েছিলো বলে ধারণা করা হয় ।
হেরাক্লেয়নের এই আবিষ্কার অতীতের অনেক রহস্য সমাধানে ভুমিকা রাখবে বলে আশা করছেন বিজ্ঞানীরা । তার কারণ হলো এখানে পাওয়া গেছে এমন সব নিদর্শন যা খুবই ভালো অবস্থায় সংরক্ষিত ছিলো । পাওয়া গেছে অক্ষত সব স্লেটের পুঁথি । এমনি এক স্লেটের টুকরো থেকে এক সময়ে হায়ারোগ্লিফের পাঠোদ্ধার করা সম্ভব হয়েছিলো । হেরাক্লেয়নও কি তেমনি কোনও বহু প্রতীক্ষিত রহস্যের দ্বার উন্মোচন করতে সক্ষম হবে ? সেই আশাই করছেন গবেষকরা ।- তথ্যসূত্র: ওয়েবসাইট।
- See more at: http://www.bd24live.com/bangla/article/18373/index.html#sthash.ycr1WpdD.dpuf
পুরো
একটা শহর ডুবে আছে সাগর তলে । যেখানে এক সময় রাজা ছিলো, প্রজা ছিলো,
কোলাহল ছিলো আজ সেই শহর নিস্তব্ধ সাগর তলে শুয়ে আছে কালের সাক্ষী হয়ে ।
কিছুদিন আগে পর্যন্ত মানুষ জানতোই না এই শহর সম্পর্কে । প্রাচীন এই শহরটির
নাম হেরাক্লেয়ন ।
আলেকজান্দ্রিয়া থেকে ২০ মাইল উত্তর-পশ্চিমে সাগরের জল থেকে আবিষ্কৃত সেই শহরের সঙ্গে আটলান্টিসের অনেক মিল রয়েছে । ধারণা করা হয় আজ থেকে দেড় হাজার বছর আগে সমুদ্র শহরটিকে গ্রাস করে নিয়েছিল । এই নগরীর কথা জানা যায় গ্রিক ইতিহাসবিদ হেরোডোটাসের বর্ণনায় । ট্রয়ের রানী হেলেনের কথা বলেন যে নিজের প্রেমিক প্যারিসের সঙ্গে হেরাক্লেয়নে ভ্রমণ করতে এসেছিলেন । ২০০১ সালে ফরাসি প্রত্নতাত্বিক ফ্র্যাঙ্ক গুডিওর গবেষক দল এমন কিছু নিদর্শন খুঁজে পান যা থেকে এ ব্যাপারে আবারও চিন্তা করতে শুরু করতে হয় । ১৭৯৮ সালের ব্যাটল অফ দ্যা নাইলের সময়কালে নেপোলিয়নের ব্যবহৃত রণতরীর খোঁজ করছিলেন তারা । কিন্তু তার বদলে আলেক্সান্দ্রিয়ার কাছে আরও মুল্যবান এই গুপ্তধন খুঁজে পান তারা । তাদের সাথে যোগ দেয় অক্সফোর্ড সেন্টার ফর মেরিটাইম আর্কিওলজি এবং মিশরের ডিপার্টমেন্ট অফ অ্যান্টিকুইটিজ ।
প্রথমে সাগরের তলে পলিমাটি চাপা পড়ে থাকা বিশাল সব পাথুরে ভাস্কর্যের ধ্বংসাবশেষ পানির উপরিভাগে আনতে শুরু করেন তারা । এর পর সেই ভাস্কর্যগুলো তীরে নিয়ে আসা সম্ভব হয় । এভাবেই প্রথম আবিষ্কারের ১২ বছর পর মানুষের সামনে উন্মোচিত হয় হেরাক্লেয়নের অমুল্য সব নিদর্শন । এদের মাঝে রয়েছে মিশরীয় দেবী আইসিস, দেবতা হাপি এবং নাম না জানা এক ফারাও এর মূর্তি । কাদার নিচে চাপা পড়ে থাকা এসব মূর্তি মোটামুটি অক্ষত অবস্থাতেই পাওয়া গেছে । এমন ১৬টি বিশাল আকৃতির মূর্তির পাশাপাশি আরও পাওয়া গেছে মিশরের অন্যান্য দেব-দেবীর ছোট আকৃতির শত শত মূর্তি । এই মূর্তিগুলো ছিলো আমুন-গেরেব একটি মন্দিরে যেখানে নীলনদের রানী হিসেবে অভিষিক্ত হয়েছিলেন ক্লিওপেট্রা ।
এই আমুন-গেরেব মন্দিরের অনেকগুলো শবাধার পাওয়া গেছে, যাদের মাঝে ছিলো বলি দেওয়া বিভিন্ন প্রাণীর মমি করা দেহ । এদেরকে উৎসর্গ করা হয়েছিলো মিশরের সবচাইতে উচ্চ পর্যায়ের দেবতা আমুন-গেরেব এর উদ্দেশ্যে । ধর্মীয় প্রতীক সম্বলিত অনেক অ্যামিউলেট বা অলংকারও পাওয়া যায় যাতে আইসিস, ওসিরিস এবং হোরাসের মতো দেব-দেবীর প্রতিকৃতি দেখা যায় । এসব অ্যামিউলেট শুধুমাত্র ওই এলাকার অধিবাসীদের জন্য নয় বরং সেখানে আসা দর্শনার্থী এবং ব্যাবসায়িদের জন্যেও তৈরি করা হয়ে থাকতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে ।
শুধু ধর্মীয় নিদর্শন নয়, হেরাক্লেয়নে পাওয়া গেছে ৬৪ টি জাহাজের ধ্বংসস্তূপ । যে কোনও এক স্থানে এতগুলো জাহাজ পাওয়ার নমুনা এই প্রথম । এ ছাড়াও পাওয়া যায় ৭০০টি নোঙর । প্রাচীন পৃথিবীর অর্থনীতির জন্যেও হেরাক্লিয়ন ছিলো গুরুত্বপূর্ণ । এখানে পাওয়া গেছে স্বর্ণ এবং সীসার মুদ্রা এবং এথেন্স থেকে আসা বাটখারা । কন্সট্যান্টিনোপল, রোম এবং এথেন্স সহ বিভিন্ন এলাকায় যাতায়াত করার জন্য তখন ভূমধ্যসাগর ব্যবহৃত হতো এবং গবেষকরা ধারণা করছেন সেখানকার সবচাইতে গুরুত্বপূর্ণ বন্দর নগরী ছিলো হেরাক্লেয়ন । আর যাতায়াতের সুবিধার্থে প্রাকৃতিক জলপথের পাশাপাশি এখানে একটি কৃত্রিম খালও কাটা হয়েছিলো বলে ধারণা করা হয় ।
হেরাক্লেয়নের এই আবিষ্কার অতীতের অনেক রহস্য সমাধানে ভুমিকা রাখবে বলে আশা করছেন বিজ্ঞানীরা । তার কারণ হলো এখানে পাওয়া গেছে এমন সব নিদর্শন যা খুবই ভালো অবস্থায় সংরক্ষিত ছিলো । পাওয়া গেছে অক্ষত সব স্লেটের পুঁথি । এমনি এক স্লেটের টুকরো থেকে এক সময়ে হায়ারোগ্লিফের পাঠোদ্ধার করা সম্ভব হয়েছিলো । হেরাক্লেয়নও কি তেমনি কোনও বহু প্রতীক্ষিত রহস্যের দ্বার উন্মোচন করতে সক্ষম হবে ? সেই আশাই করছেন গবেষকরা ।- তথ্যসূত্র: ওয়েবসাইট।
- See more at: http://www.bd24live.com/bangla/article/18373/index.html#sthash.ycr1WpdD.dpuf
আলেকজান্দ্রিয়া থেকে ২০ মাইল উত্তর-পশ্চিমে সাগরের জল থেকে আবিষ্কৃত সেই শহরের সঙ্গে আটলান্টিসের অনেক মিল রয়েছে । ধারণা করা হয় আজ থেকে দেড় হাজার বছর আগে সমুদ্র শহরটিকে গ্রাস করে নিয়েছিল । এই নগরীর কথা জানা যায় গ্রিক ইতিহাসবিদ হেরোডোটাসের বর্ণনায় । ট্রয়ের রানী হেলেনের কথা বলেন যে নিজের প্রেমিক প্যারিসের সঙ্গে হেরাক্লেয়নে ভ্রমণ করতে এসেছিলেন । ২০০১ সালে ফরাসি প্রত্নতাত্বিক ফ্র্যাঙ্ক গুডিওর গবেষক দল এমন কিছু নিদর্শন খুঁজে পান যা থেকে এ ব্যাপারে আবারও চিন্তা করতে শুরু করতে হয় । ১৭৯৮ সালের ব্যাটল অফ দ্যা নাইলের সময়কালে নেপোলিয়নের ব্যবহৃত রণতরীর খোঁজ করছিলেন তারা । কিন্তু তার বদলে আলেক্সান্দ্রিয়ার কাছে আরও মুল্যবান এই গুপ্তধন খুঁজে পান তারা । তাদের সাথে যোগ দেয় অক্সফোর্ড সেন্টার ফর মেরিটাইম আর্কিওলজি এবং মিশরের ডিপার্টমেন্ট অফ অ্যান্টিকুইটিজ ।
প্রথমে সাগরের তলে পলিমাটি চাপা পড়ে থাকা বিশাল সব পাথুরে ভাস্কর্যের ধ্বংসাবশেষ পানির উপরিভাগে আনতে শুরু করেন তারা । এর পর সেই ভাস্কর্যগুলো তীরে নিয়ে আসা সম্ভব হয় । এভাবেই প্রথম আবিষ্কারের ১২ বছর পর মানুষের সামনে উন্মোচিত হয় হেরাক্লেয়নের অমুল্য সব নিদর্শন । এদের মাঝে রয়েছে মিশরীয় দেবী আইসিস, দেবতা হাপি এবং নাম না জানা এক ফারাও এর মূর্তি । কাদার নিচে চাপা পড়ে থাকা এসব মূর্তি মোটামুটি অক্ষত অবস্থাতেই পাওয়া গেছে । এমন ১৬টি বিশাল আকৃতির মূর্তির পাশাপাশি আরও পাওয়া গেছে মিশরের অন্যান্য দেব-দেবীর ছোট আকৃতির শত শত মূর্তি । এই মূর্তিগুলো ছিলো আমুন-গেরেব একটি মন্দিরে যেখানে নীলনদের রানী হিসেবে অভিষিক্ত হয়েছিলেন ক্লিওপেট্রা ।
এই আমুন-গেরেব মন্দিরের অনেকগুলো শবাধার পাওয়া গেছে, যাদের মাঝে ছিলো বলি দেওয়া বিভিন্ন প্রাণীর মমি করা দেহ । এদেরকে উৎসর্গ করা হয়েছিলো মিশরের সবচাইতে উচ্চ পর্যায়ের দেবতা আমুন-গেরেব এর উদ্দেশ্যে । ধর্মীয় প্রতীক সম্বলিত অনেক অ্যামিউলেট বা অলংকারও পাওয়া যায় যাতে আইসিস, ওসিরিস এবং হোরাসের মতো দেব-দেবীর প্রতিকৃতি দেখা যায় । এসব অ্যামিউলেট শুধুমাত্র ওই এলাকার অধিবাসীদের জন্য নয় বরং সেখানে আসা দর্শনার্থী এবং ব্যাবসায়িদের জন্যেও তৈরি করা হয়ে থাকতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে ।
শুধু ধর্মীয় নিদর্শন নয়, হেরাক্লেয়নে পাওয়া গেছে ৬৪ টি জাহাজের ধ্বংসস্তূপ । যে কোনও এক স্থানে এতগুলো জাহাজ পাওয়ার নমুনা এই প্রথম । এ ছাড়াও পাওয়া যায় ৭০০টি নোঙর । প্রাচীন পৃথিবীর অর্থনীতির জন্যেও হেরাক্লিয়ন ছিলো গুরুত্বপূর্ণ । এখানে পাওয়া গেছে স্বর্ণ এবং সীসার মুদ্রা এবং এথেন্স থেকে আসা বাটখারা । কন্সট্যান্টিনোপল, রোম এবং এথেন্স সহ বিভিন্ন এলাকায় যাতায়াত করার জন্য তখন ভূমধ্যসাগর ব্যবহৃত হতো এবং গবেষকরা ধারণা করছেন সেখানকার সবচাইতে গুরুত্বপূর্ণ বন্দর নগরী ছিলো হেরাক্লেয়ন । আর যাতায়াতের সুবিধার্থে প্রাকৃতিক জলপথের পাশাপাশি এখানে একটি কৃত্রিম খালও কাটা হয়েছিলো বলে ধারণা করা হয় ।
হেরাক্লেয়নের এই আবিষ্কার অতীতের অনেক রহস্য সমাধানে ভুমিকা রাখবে বলে আশা করছেন বিজ্ঞানীরা । তার কারণ হলো এখানে পাওয়া গেছে এমন সব নিদর্শন যা খুবই ভালো অবস্থায় সংরক্ষিত ছিলো । পাওয়া গেছে অক্ষত সব স্লেটের পুঁথি । এমনি এক স্লেটের টুকরো থেকে এক সময়ে হায়ারোগ্লিফের পাঠোদ্ধার করা সম্ভব হয়েছিলো । হেরাক্লেয়নও কি তেমনি কোনও বহু প্রতীক্ষিত রহস্যের দ্বার উন্মোচন করতে সক্ষম হবে ? সেই আশাই করছেন গবেষকরা ।- তথ্যসূত্র: ওয়েবসাইট।
- See more at: http://www.bd24live.com/bangla/article/18373/index.html#sthash.ycr1WpdD.dpuf

পুরো
একটা শহর ডুবে আছে সাগর তলে । যেখানে এক সময় রাজা ছিলো, প্রজা ছিলো,
কোলাহল ছিলো আজ সেই শহর নিস্তব্ধ সাগর তলে শুয়ে আছে কালের সাক্ষী হয়ে ।
কিছুদিন আগে পর্যন্ত মানুষ জানতোই না এই শহর সম্পর্কে । প্রাচীন এই শহরটির
নাম হেরাক্লেয়ন ।
আলেকজান্দ্রিয়া থেকে ২০ মাইল উত্তর-পশ্চিমে সাগরের জল থেকে আবিষ্কৃত সেই শহরের সঙ্গে আটলান্টিসের অনেক মিল রয়েছে । ধারণা করা হয় আজ থেকে দেড় হাজার বছর আগে সমুদ্র শহরটিকে গ্রাস করে নিয়েছিল । এই নগরীর কথা জানা যায় গ্রিক ইতিহাসবিদ হেরোডোটাসের বর্ণনায় । ট্রয়ের রানী হেলেনের কথা বলেন যে নিজের প্রেমিক প্যারিসের সঙ্গে হেরাক্লেয়নে ভ্রমণ করতে এসেছিলেন । ২০০১ সালে ফরাসি প্রত্নতাত্বিক ফ্র্যাঙ্ক গুডিওর গবেষক দল এমন কিছু নিদর্শন খুঁজে পান যা থেকে এ ব্যাপারে আবারও চিন্তা করতে শুরু করতে হয় । ১৭৯৮ সালের ব্যাটল অফ দ্যা নাইলের সময়কালে নেপোলিয়নের ব্যবহৃত রণতরীর খোঁজ করছিলেন তারা । কিন্তু তার বদলে আলেক্সান্দ্রিয়ার কাছে আরও মুল্যবান এই গুপ্তধন খুঁজে পান তারা । তাদের সাথে যোগ দেয় অক্সফোর্ড সেন্টার ফর মেরিটাইম আর্কিওলজি এবং মিশরের ডিপার্টমেন্ট অফ অ্যান্টিকুইটিজ ।
প্রথমে সাগরের তলে পলিমাটি চাপা পড়ে থাকা বিশাল সব পাথুরে ভাস্কর্যের ধ্বংসাবশেষ পানির উপরিভাগে আনতে শুরু করেন তারা । এর পর সেই ভাস্কর্যগুলো তীরে নিয়ে আসা সম্ভব হয় । এভাবেই প্রথম আবিষ্কারের ১২ বছর পর মানুষের সামনে উন্মোচিত হয় হেরাক্লেয়নের অমুল্য সব নিদর্শন । এদের মাঝে রয়েছে মিশরীয় দেবী আইসিস, দেবতা হাপি এবং নাম না জানা এক ফারাও এর মূর্তি । কাদার নিচে চাপা পড়ে থাকা এসব মূর্তি মোটামুটি অক্ষত অবস্থাতেই পাওয়া গেছে । এমন ১৬টি বিশাল আকৃতির মূর্তির পাশাপাশি আরও পাওয়া গেছে মিশরের অন্যান্য দেব-দেবীর ছোট আকৃতির শত শত মূর্তি । এই মূর্তিগুলো ছিলো আমুন-গেরেব একটি মন্দিরে যেখানে নীলনদের রানী হিসেবে অভিষিক্ত হয়েছিলেন ক্লিওপেট্রা ।
এই আমুন-গেরেব মন্দিরের অনেকগুলো শবাধার পাওয়া গেছে, যাদের মাঝে ছিলো বলি দেওয়া বিভিন্ন প্রাণীর মমি করা দেহ । এদেরকে উৎসর্গ করা হয়েছিলো মিশরের সবচাইতে উচ্চ পর্যায়ের দেবতা আমুন-গেরেব এর উদ্দেশ্যে । ধর্মীয় প্রতীক সম্বলিত অনেক অ্যামিউলেট বা অলংকারও পাওয়া যায় যাতে আইসিস, ওসিরিস এবং হোরাসের মতো দেব-দেবীর প্রতিকৃতি দেখা যায় । এসব অ্যামিউলেট শুধুমাত্র ওই এলাকার অধিবাসীদের জন্য নয় বরং সেখানে আসা দর্শনার্থী এবং ব্যাবসায়িদের জন্যেও তৈরি করা হয়ে থাকতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে ।
শুধু ধর্মীয় নিদর্শন নয়, হেরাক্লেয়নে পাওয়া গেছে ৬৪ টি জাহাজের ধ্বংসস্তূপ । যে কোনও এক স্থানে এতগুলো জাহাজ পাওয়ার নমুনা এই প্রথম । এ ছাড়াও পাওয়া যায় ৭০০টি নোঙর । প্রাচীন পৃথিবীর অর্থনীতির জন্যেও হেরাক্লিয়ন ছিলো গুরুত্বপূর্ণ । এখানে পাওয়া গেছে স্বর্ণ এবং সীসার মুদ্রা এবং এথেন্স থেকে আসা বাটখারা । কন্সট্যান্টিনোপল, রোম এবং এথেন্স সহ বিভিন্ন এলাকায় যাতায়াত করার জন্য তখন ভূমধ্যসাগর ব্যবহৃত হতো এবং গবেষকরা ধারণা করছেন সেখানকার সবচাইতে গুরুত্বপূর্ণ বন্দর নগরী ছিলো হেরাক্লেয়ন । আর যাতায়াতের সুবিধার্থে প্রাকৃতিক জলপথের পাশাপাশি এখানে একটি কৃত্রিম খালও কাটা হয়েছিলো বলে ধারণা করা হয় ।
হেরাক্লেয়নের এই আবিষ্কার অতীতের অনেক রহস্য সমাধানে ভুমিকা রাখবে বলে আশা করছেন বিজ্ঞানীরা । তার কারণ হলো এখানে পাওয়া গেছে এমন সব নিদর্শন যা খুবই ভালো অবস্থায় সংরক্ষিত ছিলো । পাওয়া গেছে অক্ষত সব স্লেটের পুঁথি । এমনি এক স্লেটের টুকরো থেকে এক সময়ে হায়ারোগ্লিফের পাঠোদ্ধার করা সম্ভব হয়েছিলো । হেরাক্লেয়নও কি তেমনি কোনও বহু প্রতীক্ষিত রহস্যের দ্বার উন্মোচন করতে সক্ষম হবে ? সেই আশাই করছেন গবেষকরা ।- তথ্যসূত্র: ওয়েবসাইট।
- See more at: http://www.bd24live.com/bangla/article/18373/index.html#sthash.ycr1WpdD.dpuf
আলেকজান্দ্রিয়া থেকে ২০ মাইল উত্তর-পশ্চিমে সাগরের জল থেকে আবিষ্কৃত সেই শহরের সঙ্গে আটলান্টিসের অনেক মিল রয়েছে । ধারণা করা হয় আজ থেকে দেড় হাজার বছর আগে সমুদ্র শহরটিকে গ্রাস করে নিয়েছিল । এই নগরীর কথা জানা যায় গ্রিক ইতিহাসবিদ হেরোডোটাসের বর্ণনায় । ট্রয়ের রানী হেলেনের কথা বলেন যে নিজের প্রেমিক প্যারিসের সঙ্গে হেরাক্লেয়নে ভ্রমণ করতে এসেছিলেন । ২০০১ সালে ফরাসি প্রত্নতাত্বিক ফ্র্যাঙ্ক গুডিওর গবেষক দল এমন কিছু নিদর্শন খুঁজে পান যা থেকে এ ব্যাপারে আবারও চিন্তা করতে শুরু করতে হয় । ১৭৯৮ সালের ব্যাটল অফ দ্যা নাইলের সময়কালে নেপোলিয়নের ব্যবহৃত রণতরীর খোঁজ করছিলেন তারা । কিন্তু তার বদলে আলেক্সান্দ্রিয়ার কাছে আরও মুল্যবান এই গুপ্তধন খুঁজে পান তারা । তাদের সাথে যোগ দেয় অক্সফোর্ড সেন্টার ফর মেরিটাইম আর্কিওলজি এবং মিশরের ডিপার্টমেন্ট অফ অ্যান্টিকুইটিজ ।
প্রথমে সাগরের তলে পলিমাটি চাপা পড়ে থাকা বিশাল সব পাথুরে ভাস্কর্যের ধ্বংসাবশেষ পানির উপরিভাগে আনতে শুরু করেন তারা । এর পর সেই ভাস্কর্যগুলো তীরে নিয়ে আসা সম্ভব হয় । এভাবেই প্রথম আবিষ্কারের ১২ বছর পর মানুষের সামনে উন্মোচিত হয় হেরাক্লেয়নের অমুল্য সব নিদর্শন । এদের মাঝে রয়েছে মিশরীয় দেবী আইসিস, দেবতা হাপি এবং নাম না জানা এক ফারাও এর মূর্তি । কাদার নিচে চাপা পড়ে থাকা এসব মূর্তি মোটামুটি অক্ষত অবস্থাতেই পাওয়া গেছে । এমন ১৬টি বিশাল আকৃতির মূর্তির পাশাপাশি আরও পাওয়া গেছে মিশরের অন্যান্য দেব-দেবীর ছোট আকৃতির শত শত মূর্তি । এই মূর্তিগুলো ছিলো আমুন-গেরেব একটি মন্দিরে যেখানে নীলনদের রানী হিসেবে অভিষিক্ত হয়েছিলেন ক্লিওপেট্রা ।
এই আমুন-গেরেব মন্দিরের অনেকগুলো শবাধার পাওয়া গেছে, যাদের মাঝে ছিলো বলি দেওয়া বিভিন্ন প্রাণীর মমি করা দেহ । এদেরকে উৎসর্গ করা হয়েছিলো মিশরের সবচাইতে উচ্চ পর্যায়ের দেবতা আমুন-গেরেব এর উদ্দেশ্যে । ধর্মীয় প্রতীক সম্বলিত অনেক অ্যামিউলেট বা অলংকারও পাওয়া যায় যাতে আইসিস, ওসিরিস এবং হোরাসের মতো দেব-দেবীর প্রতিকৃতি দেখা যায় । এসব অ্যামিউলেট শুধুমাত্র ওই এলাকার অধিবাসীদের জন্য নয় বরং সেখানে আসা দর্শনার্থী এবং ব্যাবসায়িদের জন্যেও তৈরি করা হয়ে থাকতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে ।
শুধু ধর্মীয় নিদর্শন নয়, হেরাক্লেয়নে পাওয়া গেছে ৬৪ টি জাহাজের ধ্বংসস্তূপ । যে কোনও এক স্থানে এতগুলো জাহাজ পাওয়ার নমুনা এই প্রথম । এ ছাড়াও পাওয়া যায় ৭০০টি নোঙর । প্রাচীন পৃথিবীর অর্থনীতির জন্যেও হেরাক্লিয়ন ছিলো গুরুত্বপূর্ণ । এখানে পাওয়া গেছে স্বর্ণ এবং সীসার মুদ্রা এবং এথেন্স থেকে আসা বাটখারা । কন্সট্যান্টিনোপল, রোম এবং এথেন্স সহ বিভিন্ন এলাকায় যাতায়াত করার জন্য তখন ভূমধ্যসাগর ব্যবহৃত হতো এবং গবেষকরা ধারণা করছেন সেখানকার সবচাইতে গুরুত্বপূর্ণ বন্দর নগরী ছিলো হেরাক্লেয়ন । আর যাতায়াতের সুবিধার্থে প্রাকৃতিক জলপথের পাশাপাশি এখানে একটি কৃত্রিম খালও কাটা হয়েছিলো বলে ধারণা করা হয় ।
হেরাক্লেয়নের এই আবিষ্কার অতীতের অনেক রহস্য সমাধানে ভুমিকা রাখবে বলে আশা করছেন বিজ্ঞানীরা । তার কারণ হলো এখানে পাওয়া গেছে এমন সব নিদর্শন যা খুবই ভালো অবস্থায় সংরক্ষিত ছিলো । পাওয়া গেছে অক্ষত সব স্লেটের পুঁথি । এমনি এক স্লেটের টুকরো থেকে এক সময়ে হায়ারোগ্লিফের পাঠোদ্ধার করা সম্ভব হয়েছিলো । হেরাক্লেয়নও কি তেমনি কোনও বহু প্রতীক্ষিত রহস্যের দ্বার উন্মোচন করতে সক্ষম হবে ? সেই আশাই করছেন গবেষকরা ।- তথ্যসূত্র: ওয়েবসাইট।
- See more at: http://www.bd24live.com/bangla/article/18373/index.html#sthash.ycr1WpdD.dpuf
No comments